বিক্ষোভ
গাজীপুরের চন্দ্রায় মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কারখানার শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হারডি কারখানার শ্রমিকরা এ অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভ করেন। এতে উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত চন্দ্রায় চন্দ্রা-নবীনগর, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইস উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে দুই মাসের বেতনের দাবিতে চন্দ্রায় হারডি কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এতে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হওয়ায় আমরা গাড়িগুলোকে ডাইভারসন দেয়া পরিকল্পনা করছি। শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে মহাসড়ক থেকে তাদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।
গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ২ এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, একটি কারখানার শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমাদের টিম তাদের সাথে কথা বলে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ঢাকা কলেজে অরাজকতার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার সময় কলেজটির নর্থ হলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এরপর মিছিলটি হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে নাইমের গলি হয়ে কলেজের মূল ফটকে সমাপ্ত হয়।
এ সময় তারা "আবু সাইদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, ঢাকা কলেজে হবে না, আদু ভাইয়ের ঠিকানা, ঢাকা কলেজে হবে না, সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো, জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে, ক্যাম্পাসে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই," ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাকিব বলেন, দুই দিন ধরে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও পদধারী দুই গ্রুপের কিছু নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে যা অত্যান্ত লজ্জাজনক। আমরা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ২ হাজার শহীদের বিনিময়ে শেখ হাসিনাকে হটিয়ে ফ্যাসীবাদ মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু এতদিন ছাত্রলীগ যে কাজটা করেছিল গতকাল ককটেল বিস্ফোরণ করে ছাত্রদলের ভাইয়েরা সেই কাজটিই করেছেন। আমরা খুবই লজ্জিত এবং আপনাদেরকে আহ্বান জানায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজনীতি করবেন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলন করে ৫ আগস্টের পর ঢাকা কলেজে নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরী করেছি। আপনারা অপরাজনীতির নামে যদি ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করেন তাহলে শেখ হাসিনাকে যেভাবে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছি ঠিক সেভাবে ছাত্রদলকেও হল ছাড়তে বাধ্য করব। সুতারং আপনারা ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি করেন।
আরেক সমন্বয়ক গাজী হোসাইন বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ফলে অর্জিত বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করা হচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে আজকে ও গতকালকে তারা সুন্দর ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে, এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপদহীনতায় ভুগতেছে। যারা ককটেল বিস্ফোরণ করছে তারা চিহ্নিত, তারেক জিয়াকে নিয়ে স্লোগান দেয় এবং মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছি তারা ছাত্রদলের। আপনারাও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছিলেন, তারই ফলে একটি বৈষম্য বিরোধী স্বাধীন সার্বভোম বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। আপাদেরকে উদাত্ত আহ্বান জানায়, এমন রাজনীতি ক্যাম্পাসে নিয়ে আসুন যে রাজনীতি ছাত্রদের পার্লস বুঝে হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ৩৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এরপর রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে কলেজের বিভিন্ন স্থানে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দিন বুধবারও তারা একই কর্মসূচি পালন করেন।
এআই
মাদারীপুরে সাদপন্থীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীর ময়দানে গভীর রাতে তাবলীগ জামাতের ঘুমন্ত মুসল্লীদের উপর সাদপন্থীদের নৃশংস হামলার খুনীদের বিচার এবং তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ শান্তির মিছিল করেন উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার ওলামায়ে কারামগণ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার সময় শিবচর উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ, ওলামায়ে কেরামগণ মিছিলে জমায়েত হয়ে শান্তির লক্ষ্যে ইসকন, কাদিয়ানী, সাদপন্থীদের অঙ্গসংগঠনের নিষিদ্ধ করার দাবীতে মাও.আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান (পীর সাহেব বাহাদুরপু) -এর নেতৃত্বে সমাবেশ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, এদেশ হাজী শরীয়ত উল্লাহের দেশ, এদেশ শাহজালালের দেশ, সুতরাং এদেশের মাটিতে কোন কাদিয়ানীদের ঠাই নাই। হকপন্থী দেওবন্দের ফতুয়া, মাসালা যে ভাবে আমাদের পূর্বপুরুষেরা মেনে এসেছে, আমরাও মানবো। কোনো সাদপন্থীদের ভুলব্যাখা মানবো না। যারা এদেশের তাবলীগ জামাতের নামে ভুলব্যাখা বুঝিয়ে মুসলমানদের গোমরাহী করছে, যারা টঙ্গীর ময়দানে ঘুমন্ত তাবলীগ জামাতের উপর হামলা করে মুসলমান ভাইদের খুন করেছে। আমরা তাদের সকল কার্যক্রমের নিষিদ্ধের দাবী জানিয়ে সরকারের কাছে এই খুনীদের ফাঁসি চাই। সমাবেশ শেষে মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন রাজপথ প্রদক্ষিণ করেন।
উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাও. হানজালা (সভাপতি, হাজী শরীয়ত উল্লাহ (র.) বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ পরিষদ ও সিনিয়র নায়েবে আমীর, জেলা শাখা, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ), মুফতী জালাল উদ্দিন (সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা শাখা, হেফাজত ইসলাম বাংরাদেশ), মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমী, মাও.আকরাম হুসাইন, মুফতি শাহআলম তালুকদার, মাওলানা নোমান আহমেদ, মাও.ইমদাদুল হক, মাও. ফারুক আহমদ, মাও.আবুল বাশার ফরায়েজীসহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
রাঙ্গামাটিতে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
দেশে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর হামলা, হত্যা ও শীর্ষস্থানীয় আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা, ইজতেমার মাঠ দখলের পায়তারা ও সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উলামা পরিষদ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফিশারি ঘাট জামে মসজিদ ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভার ফটকে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা সাদ পন্থীদের আওয়ামী দোসর উল্লেখ করে বলেন তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। অচিরেই সাদ পন্থীদের সকল কার্যক্রম এই দেশে নিষিদ্ধ করতে হবে, অন্যথায় দেশের আলেম সমাজ কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে। এছাড়া রাঙামাটির পাবলিক হেলথ জামে মসজিদে সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের সভাপতি হাজী শরীয়তুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক এর সঞ্চালনায় ওলামায়ে কেরাম গণ উপস্থিত ছিলেন।
এমআর
ইজতেমা ময়দানে হামলার প্রতিবাদে বিরামপুরে বিক্ষোভ মিছিল
গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামাতের সাথীদের ওপর সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দিনাজপুরের বিরামপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বিরামপুর আলমি শুরা তাবলীগ জামাত ও তৌহিদী জনতা।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় পাইলট হাইস্কুল মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের ঢাকা মোড় এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সহস্রাধিক আলেমগণ জড়ো হতে থাকেন। ঘণ্টা ব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে মুসল্লীদের ঢল নামে। বাংলাদেশ থেকে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের ঘোষণা করে উপজেলার আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতার নেতৃবৃন্দরা। এসময় অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে কর্মসূচি আরও জোরদার ও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ওলামায়ে সমাজ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা জানায়, সন্ত্রাসী জঙ্গি সাদপন্থীদের সব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধ ও ইজতেমার মাঠে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ঘুমন্ত মুসলিমদের ওপর র্ববোরী হামলাকারী খুনিদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আসর এর নামাজ আদায় শেষে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খিলাফত আন্দোলনরে মহাসচিব আল্লামা মুফতি ফকরুল ইসলাম, বিরামপুর ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, মাওলানা আনিছুর রহমান,মুফতি আব্দুল হাকিমসহ অন্যান্য আলেম-ওলামাগণ।
এআই
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ
টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে গভীর রাতে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তিসহ সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড় ১১টায় নগরীর সদররোডস্থ অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বরিশালের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম এবং তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তাবলীগ জামাত বিশ্বব্যাপী দ্বিনের বাণী প্রচারে নিবেদিত প্রাণ এক বরকতময় জামাত। বিশ্ববিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার সূর্যসন্তান হজরত মাও: ইলিয়াস রহ. এ মেহনত শুরু করেন।
এরপর ধারাবাহিকভাবে উপ-মহাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে এ জামাতের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে আলমী শুরা (বিশ্ব পরামর্শ কমিটি) আলেমদের মাধ্যমে সারা বিশ্বে এবং বাংলাদেশে এ মেহনত সূচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, আসন্ন ইজতেমার প্রস্তুতির জন্য সরকারের অনুমোদনক্রমে সহস্রাধিক তাবলিগের সাথি ও উলামায়ে কেরাম ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতের কাজ করছিলেন।
কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার সময়, ইজতেমা মাঠে অবস্থানরত তাবলিগের সাধারণ সাথি ও আলেম উলামাদের উপর রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত অবস্থায় অতর্কিত হামলা করে সন্ত্রাসী সাদপন্থীরা। তারা হিংস্র হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে সারাদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত সাথীদের উপর। ৪ জন সাথীকে নির্মমভাবে হত্যা করে ও অসংখ্য সাথীকে মারাত্মকভাবে আহত করে।
ইজতেমার ময়দান সংলগ্ন মাদ্রাসায় ভাঙচুর করে, ইজতেমার বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর ও লুটপাট করে। যা দেশের সকল গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তারা এহেন নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তাদের এসব হিংস কর্মকাণ্ড এখনো থেমে নেই। তারা বিভিন্ন এলাকায় ও মসজিদে সাধারণ সাথীদেরকে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায়, বরিশালের সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে চার দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হল- টঙ্গি ইজতেমার মাঠে ঘুমন্ত সাথীদের উপর বর্বর আক্রমণকারী খুনিদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা।
বরিশাল জেলা থেকে যেসব উগ্রবাদী সাদপন্থী প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোঁটা নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে টঙ্গীতে গিয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার করা।
মসজিদ সমূহে সাদপন্থীদের সকল প্রকার কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করা। বরিশালে সাদপন্থীরা হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন চৌমাথা মারকায মসজিদকে তাদের ষড়যন্ত্রের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তাই চৌমাথা মারকায মসজিদে সাদপন্থীদের সকল প্রকার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মসজিদটিকে সাদপন্থীদের দখল মমুুক্ত করা। এসময় বক্তারা আরও বলেন, তাবলিগের এই মহান কাজের সূচনা উলামায়ে কেরামের দ্বারাই এবং এযাবৎ তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়ে আসছে বলে ভবিষ্যতেও ওলামাদের তত্ত্বাবধানের বাইরে এই মহান কাজ সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হবে না।
এজন্যই আপনাদের কাছে দাবি ভবিষ্যতে যেন ইজতেমা ময়দানে মুসুুল্লীদের হত্যাকারী সাদপন্থীরা তাবলিগের নামে কোনো মসজিদে কার্যক্রম না চালাতে পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। পাশাপাশি ইজতেমা ময়দানে মুসুুল্লীদের হত্যার ঘটনায় বিচার দাবি করেন।
সমাবেশে এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামিয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদ্রাসার মোহতামীম হজরত মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুবসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও মসজিদের ইমামসহ ওলামায়ে কেরামগন।
শুরুতে নগরীর বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে মুসল্লিরা সাদপন্থীদের জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী উল্লেখ করে স্লোগান দিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেয়। পরে সমাবেশ শেষে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়, যা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ওলামায়ে কেরামগণ।
এআই
কুমিল্লায় জুবায়েরপন্থিদের বিক্ষোভ, ঢাকা চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ
তাবলিগ জামাতের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচার দাবিতে কুমিল্লায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জুবায়েরপন্থিরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ১১টায় আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এর আগে সকাল ৯ টা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। কুমিল্লার উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সমাবেশের কারণে মহাসড়কের দু’পাশে অন্তত ৬ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সমাবেশে তারা দাবি জানান, রাতের অন্ধকারে সাদপন্থি যারা নিরীহ তাবলিগ জামাতের সাথীদের হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। কুমিল্লার জেলার সব মসজিদ থেকে সাদপন্থিদের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
তারা আরও দাবি জানান, যে ধারায় ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেভাবে সাদপন্থিদেরও নিষিদ্ধ করতে হবে।
এ সময় বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী বলেন, ‘সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। আমাদের সঙ্গে হাজার হাজার ওলামায়ে কেরাম ও সাথীরা আছেন। আমরা ইজতেমা মাঠে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
পরে জুবায়েরপন্থীরা এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হন। পরে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন তারা। এ সময় স্মারকলিপিতে সাতটি দাবি উল্লেখ করেন তারা।
এদিকে, বিক্ষোভের পরে এক ফেসবুক পোস্টে মুফতি জিলানি লিখেন- ‘আমাদের এই বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কে যাত্রীদের যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
এইচএ
মাগুরার মহম্মদপুরের ইউএনও'র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
মাগুরার মহম্মদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডলের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের ভায়না মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন মহম্মদপুরের ইউএনও পলাশ মন্ডল ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবে আওয়ামী সরকারের লোক নিয়ে অনুষ্ঠান করেছে, যারা আগষ্টের আওয়ামী সরকারের লোকজন শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার ও গুলি চালিয়েছিল। এমনকি এর আগে ইউএনও শহীদ পরিবারের লোকেদের প্রতি বিরুপ মন্তব্য করেছিল অভিযোগ করে ইউএনওর অপসারণ দাবি করেন।
এদিকে ভায়নামোড়ে অবস্থান কালে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয় এবং মারধর করে একদল লোক। তারা ব্যানারও ছিড়ে ফেলে। পরে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাগুরার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী সাঈফ হৃদয়, মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা, মারিয়া খাতুন, সুবর্ণা ইসলাম, হাবিবুর রহমানসহ আরও অনেকে।
পরে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে স্বাক্ষরলিপি প্রদান করে। দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
এআই
শার্শার দাউদখালী খালমুখের বাঁধ কাটার দাবিতে বিক্ষোভ, পরিদর্শন করলেন এসিল্যান্ড
যশোরের শার্শা উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মাখলা ঠেঙামারি ও গোমর বিলে জলাবদ্ধতায় জমে থাকা পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্কাশনের দাবি জানালেন স্থানীয় কৃষকরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে দাউদখালী খালমুখে নির্মিত বাঁধ পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন। এসময় কৃষকরা খালের মুখের বাধ কেটে দেয়ার জোর দাবি জানান। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ করেন। প্রশাসন বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এ সময় শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা, বাগআঁচড়া ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, শার্শা থানা বিএনপির সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলামসহ বাগআঁচড়া, বসতপুর, কায়বা, ভবানীপুর, দাউদখালী ও রুদ্রপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত কৃষকরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানান।
জানা যায়, এ বছর ভারি বর্ষনে ওই এলাকার ছোট বড় ও মাঝারি সব বিল তলিয়ে রয়েছে আষাঢ় মাসের শুরু থেকে। ১৯৭০ সালের পর থেকে ইছামতী নদী তার নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই ৫৪ বছর আগে থেকেই কপাল পুড়েছে এ অঞ্চলের চাষীদের। বিলের পানি আগের মত আর নিষ্কাশিত হতে পারেনা। উপরন্ত ইছামতি নদীর উজানের পানি উপজেলার রুদ্রপুর-দাউদখালী খালদিয়ে মাখলা ও সোনামুখি বিলে প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। ৬ মাস ধরে বিল তলিয়ে থাকে।
এর সমাধানের জন্য ৮০ র দশকে রুদ্রপুর-দাউদখালী খালের ওপর তিন ব্যান্ডের সøুইসগেট নির্মান করা হয়। কিন্তু উজানের পানি রোধ করা যায়নি। এরপর ৯০ দশকে ২০ গজ দুরত্বে আরো একটি পাঁচটি ব্যান্ডের সøুইসগেট নির্মান করা হয়। এতে নির্মান কাজে ক্রুটি থাকায় আগের মতই উজানের পানি প্রবেশ করে মাঠ ঘাট তলিয়ে যায়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে দাউদখালী খালের প্রবেশ মুখে বাধ দিয়ে মেশিনের সাহায্যে পানি সেচে ঠেঙামারী বিলে ধান রোপনের ব্যাবস্থা করা হয়। এবছর পানির চাপ অনেক বেশি থাকায় ও অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় সেটিও সম্ভব হবে না। ঠেঙামারী বিলে এখনো ৬ থেকে ৮ ফুট পানি রয়েছে। যে কারনে মৌসুমে ধান চাষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
মাখলা বিলে ৪০০ একর, ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একর ও গোমর বিলে ২০০ একর জমিতে ইরিধানের চাষ করা হয়। বিলে জলাবদ্ধতার কারনে চলতি মৌসুমে মাখলা বিলে ২০০ একর, ঠেঙামারী বিলে ২৫০ একর ও গোমর বিলে ১০০ একর জমি পতিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বীজতলা তৈরির জন্য চাষিরা দ্রুত পানি নিস্কাসনের দাবি জানিয়েছেন। অনেকে মটরের সাহায্যে পানি সেচের দাবি করছেন আবার অনেকে বাঁধ কেটে পানি নিস্কাসনের দাবি তুলেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিলে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার লোকজনকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো কথা বলা হয়েছে। লিখিত পেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর
নেত্রকোনায় ৩ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ
নেত্রকোনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ তিনদফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টকের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের সামনের মূল সড়কে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে “ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক” এর শিক্ষার্থীরা এই সকর্মসূচী পালন করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, নির্ধারিত বিষয়ে পাস করার পরও শিক্ষার্থীরা বেকার দিন কাটাচ্ছেন। যেখানে তাঁদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না, সেখানে নতুন করে কয়েকটি ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান। এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে প্রতি বছর শত শত বেকার যুবক বের হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- নবসৃষ্ট উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদে দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও চূড়ান্ত নিয়োগ দিতে হবে , ভিএফ ও সমমানের পদে ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক সংযুক্ত করা এবং ৭০ শতাংশ পদে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগ দিতে হবে, ভিএফএ ও সমমানের পদে ডিপ্লোমাধারীদের প্রশিক্ষণের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা বাতিল করে সরাসরি চূড়ান্ত নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা জেলাপ্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাসহ মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টকের শিক্ষার্থীরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি সংশোধনের দাবিতে প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে এবং পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচীর হুঁশিয়ারি হিসেবে মঙ্গলবার তিনদফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।
এআই
পাবনায় শিমুল হত্যার বিচার দাবিতে সহপাঠীদের বিক্ষোভ সমাবেশ
পাবনা জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিমুল মালিথা হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সহপাঠী ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান আব্দুল হামিদ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় নিহতের বিচার দাবিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বজনরা।
বক্তব্যে তারা বলেন, জিলা স্কুলের ২০২২ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী শিমুল মালিথা অনেক শান্ত ও বিনয়ী স্বভাবের কারণে স্কুল এবং এলাকায় প্রশংসিত ছিল। গত ৬ ডিসেম্বর রাতে চরঘোষপুর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব থামাতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বখাটেরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও মুলহোতারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিচারের দাবি জানান।
এদিকে, শিমুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা শাহীন মালিথা বাদী হয়ে রবিবার রাতে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এআই
ভারতীয় অপপ্রচার ও উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে শাহজাদপুরে বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলার প্রতিবাদ, দেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এবং সহিংসতায় জড়িত ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বাদ আছর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর শহরের থানারঘাট এলাকা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শাহজাদপুর থানা শাখার ব্যানারে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
এসময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে ভারত বিরোধী ও ইসকন বিরোধী বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেওয়া হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দ্বারিয়াপুর বাজারের ফলপট্টি এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন শাহজাদপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ, জাতীয় ওলামা পরিষদের শাহজাদপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম জিহাদী, মাওলানা মুফতি আমিনুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা আহমদুল্লাহ।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সর্বশেষ ইসকনের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করার সময় আমাদের জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হয়। তারই গ্রেফতারের পর শেখ হাসিনা ও ভারতের ইন্ধনে ইসকনের উগ্র সমর্থকদের মাধ্যমে চট্টগ্রামে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং মুসলিম আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এসময় তারা ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ নিষিদ্ধের দাবি জানান। এবং দেশের ১৮ কোটি জনগণের পক্ষ থেকে জুলাই গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন।
এআই